ইমাম মাহদী কে চেনার উপায়
![]() |
ইমাম মাহদী কে চেনার উপায় |
ইমাম মাহদী কে চেনার উপায়। ইমাম মাহদীর আগমনের ৭০ টি আলামত। ইমাম মাহদী হলেন ইসলামের একটি প্রকৃত উদ্ভবতা যার উপর বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস ও উত্সাহ নির্ভর করে। মুসলিম ধর্মে ইমাম মাহদী হলেন মহাপুরুষ, যিনি মানব জাতির পরিপূর্ণ সমাধান ও প্রশাসন করবেন এবং সৃষ্টিতে ইসলামের শান্তি ও সমতা নিশ্চিত করবেন।
পৃথিবীতে কেয়ামতের আগ মুহূর্তে ইমাম মাহাদীর আগমন ঘটবে। আর এই ইমাম মাহদী তার ন্যায়পরায়ণের মাধ্যমে পৃথিবীকে সাত থেকে নয় বছর শাসন করে থাকবেন। আর কিয়ামতের আগ মুহূর্তে এই শাসন আমল হবে পৃথিবীর মানুষের কাছে খুব সুখময় ও আনন্দময়। তার আগমনে যে কিয়ামতের বড় আলামত হিসেবে ধারণা করা হয়।
মহান আল্লাহতালা মাহদীকে পৃথিবীতে এমন সময় পাঠাবে যখন পৃথিবীতে অশান্তি বিরাজ করবে। যখন প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলায় ভরে থাকবে, একদলের ওপর আরেক দল বিদ্রোহ করবে। যখন পৃথিবীতে একটি মানুষের ওপর আরেকটি মানুষের কোন সম্মান থাকবে না। সারা পৃথিবী ফিৎনায় পতিত হবে। মুসলিমদের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। শাম থেকে সুফিয়ানী নামক এক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
পবিত্র আত্মাকে শহিদ করে দেয়া হবে। প্রতি নয় জনে এক জনকে কতল করে দেয়া হবে। যে বছর সূর্যও চন্দ্র গ্রহণ রমযান মাসেই হবে সে বছর ইমাম মাহদীর আগমন ঘটবে। আর মাহাদী এমন সময় পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে পৃথিবীর শান্তি শৃঙ্খলা পুনরায় ফিরেয়ে নিয়ে আসবে। আর তারই লক্ষ্যে তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হবে।
আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী ইমাম মাহদী কে চেনার উপায় তাকে চেনার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হবে তিনি হবেন বদান্যতা। স্বভাব চরিত্রে তিনি নবী স. এর ন্যায় হবেন। তিনি বায়তুল্লাহ তে বায়আত গ্রহণ করবেন। তিনি সারাবিশ্বকে ন্যায়নিষ্ঠা ও ইনসাফে ভরে দিবেন।
তিনি হবেন ঈর্ষণীয় দানশীল ও দয়ার অধিকারী একজন ব্যক্তি। তিনি খুব বেশি দান খয়রাত করবেন। এই ধরনের তথ্য গুলো আমরা একাধিক হাদিস থেকে পেয়েছি। তিনি কখন আসবে বা কোন সময় আসবে এই বিষয়ে সঠিক কোন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় নি। তবে তিনি এই পৃথিবীতে আসবেন।
ইমাম মাহদীর আগমনের ৭০ টি আলামত
তাঁর নাম হবে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামের মতই এবং তাঁর পিতার নাম হবে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর পিতার নামের মতই। তিনি হবেন হাসান বিন আলী (রাঃ) এর বংশ থেকে। ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ ‘‘তিনি হলেন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-ফাতেমী আল-হাসানী।
ইমাম মাহদী (আঃ) আসার আলামত হিসেবে হাদীসে যে ৭০ টি আলামত বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৬৫টি পূর্ণ হয়ে গেছে! ৩১টি আলামত তুলে ধরা হলো-
১. মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে -(বুখারী)।
২. মানুষ চুলে কলপ ব্যবহার করবে -(আবু দাউদ)।
৩. ঘন ঘন ভূমিকম্প হবে-(বুখারী)।
৪. বিনা বিচারে হত্যাকান্ড বেড়ে যাবে-(বুখারী ও মুসলীম)।
৫. ঘন ঘন বাজার বসবে ও মহিলারা সর্বপ্রথম সেখানে ঢুকবে- (বুখারী, মুসলীম ও মিশকাত)।
৬. মহিলারা পণ্য হবে (তাদের দোকানে বসানোসহ বিভিন্ন এডভারটাইজিং করাবে)।
৭. পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে (বুখারী ও মুসলীম)।
৮. ঘন ঘন বজ্রপাত হবে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের যখন পরস্পরের সাথে দেখা হবে, তারা বলবে গত বজ্রপাতে তোমাদের এলাকায় কতজন মারা গেছে।
৯. সুদের ছড়াছড়ি হবে।
১০. দূর্নীতি বেড়ে যাবে।
১১. কোন অপরাধে শাস্তি কায়েম হবে না।
১২. জ্বীনা-ব্যভিচার প্রেম-ভালোবাসা, অবৈধ সম্পর্ক, পরকীয়া বেড়ে যাবে।
১৩. সময় দ্রুত চলে যাবে, বরকত কমে যাবে।
১৪. গান-বাজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে ও তাকে হালাল মনে করা হবে।
১৫. মদ্যপান বেড়ে যাবে ও তা অন্য নাম দিয়ে বিক্রি করা হবে।
১৬. শাসকরা কাফেরদের বন্ধু বানাবে।
১৭. অযোগ্য ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকবে।
১৮. সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র প্রায় জায়গায় নারীর কর্তৃক থাকবে।
১৯. নামে মাত্র মুসলিম থাকবে।
২০. পাপকে পাপ না মনে করে আনন্দ করবে।
২১. বেশি পরিমাণে বিদআত বৃদ্ধি পাবে।
২২. আকাশ থেকে (স্যাটালাইটের মাধ্যমে- ইন্টারনেট) ফেতনা বর্ষিত হবে!
২৩. মুসলীম উম্মাহর একদল মূর্তিপূজা করবে (বুঝে নেন)!
২৪. দাসী তার প্রভুকে জন্ম দেবে (মেয়ে তার মায়ের সাথে দাসীর মত আচরণ করবে)।
২৫. গায়ক-গায়িকা, নায়ক-নায়িকা, নর্তকীদের কদর বেড়ে যাবে!
২৬. মুসলিমরা সব জায়গায় নির্যাতিত হবে!
২৭. জিহাদ’সহ আরো বিভিন্ন ফরজ বিধান থেকে মানুষ দূরে থাকবে।
২৮. মূর্খরা আলেমদের ভূল ধরবে।
২৯. ফুরাত নদী শুকিয়ে যাবে (বর্তমানে শতকরা ৯৪ ভাগ পানি শুকিয়ে গেছে! খবর রাখেন?) আর তা থেকে স্বর্নের পাহাড় উঠে আসবে। শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ তা নিজের মনে করবে ও যুদ্ধে যাবে।
৩০. মৃত্যুকে ভয় পাবে ও জীবনের মায়া বেশি থাকবে।
৩১. সৌদি নেতৃত্বে তিনটি ফাটল হবে (বর্তমান বাদশাহর তিনজন ছেলে)।
বাকি ৫ টির মধ্যে ৪ আলামত পূরণ হলে কেয়ামতের দিন গোনা শুরু হয়ে যাবে!
সেগুলো:-
১. আলেমদের থেকে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে।
২. ক্বারিদের থেকে তেলাওয়াত উঠিয়ে নেয়া হবে।
৩. মসজিদ চাকচিক্য করবে কিন্তু মুসল্লী কম হবে।
৪. কোরআনের লেখা মুছে যাবে।
৫. পশ্চিম দিকে সূর্য উঠবে।
কি মনে হচ্ছে- কিয়ামতের দিন ঘনিয়ে এসেছে? আগে মনে হত- কিয়ামত আসতে এখনো সময় আছে। কিন্তু এখন মনে হয় কিয়ামত এতো কাছে যে হয়ত আমিও কেয়ামত দেখতে পারবো…!
মৃত্যু প্রতিদিন আমাকে-আপনাকে ৭ বার স্মরণ করছে! আমি-আপনি কয়বার মৃত্যুকে স্মরণ করছি?
Post a Comment