![]() |
হযরত সুমাইয়া রাঃ এর জীবনী |
হযরত সুমাইয়া রাঃ এর জীবনী, ইসলামের প্রথম শহীদ নারী কে, ইসলামের প্রথম শহীদ হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর এই পৃথিবীতে জন্ম হয়েছিল একজন দাসী হিসাবে।
রাসূল (সাঃ)দ্বীন ইসলাম প্রচার করার সাথে সাথে হযরত সুমাইয়া (রাঃ) ও উনারস্বামী ও উনাদের ছেলে মুসলমান হয়ে যান।
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) ছিলেন শুরুর দিক থেকে ইসলাম গ্রহন করার মাঝে ১৭ তম ব্যক্তি। ইসলাম গ্রহন করার পর হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর উপর আবু জেহেল অকথ্য অত্যাচার শুরু করে।
আবু জাহেল তাদেরকে মক্কার আল-বাতহা উপত্যকার মরুভূমির তপ্তবালুর মাঝে লোহার পোষাক পরিয়ে শুইয়ে রাখত।
যেহেতু হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর কোন নিজস্ব গোত্র ছিল না তাই আবুজাহেল তার ইচ্ছামত হযরত সুমাইয়া (রাঃ) কে অত্যাচার করত।
রাসূল (সাঃ) যখন হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর পাশদিয়ে যেতেন তখন বলতেন-”হে ইয়াসিরের পরিবার পরিজন ধৈর্য্য ধর। তোমাদের জন্য সুসংবাদ। তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত! ” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন হযরত সুমাইয়া (রাঃ) কে জান্নাতের সুসংবাদ দিতেন তখন হযরত সুমাইয়া (রাঃ) রাসূল (সাঃ) কে বলতেন ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমি জান্নাতের সুগন্ধ এই তপ্তমরুভূমির বুকেই শুয়েই পাচ্ছি। দীর্ঘদিন অত্যাচার নির্যাতন করার পরও
যখন হযরত সুমাইয়া (রাঃ) দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগ করলেন না তখন একদিন নরাধম আবু জাহেল হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর লজ্জাস্থানে বর্শা নিক্ষেপকরে উনাকে শহীদকরে ফেলে।
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর মৃত্যুর পর নরাধম আবু জেহেল উনারস্বামী হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির (রাঃ) কেওতীরবিদ্ধ করে শহীদকরে ফেলে।
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর শাহাদাতের ঘটনাটা ঘটে ৬১৫
খ্রীষ্টাব্দে।
অর্থ্যাৎ রাসূল (সঃ) এর নব্যুয়ত পাওয়ার পর ৫ বছর পর হযরত সুমাইয়া (রাঃ) শাহাদাত বরন করেন। বদর যুদ্ধে আবু জেহেল নিহত হলে রাসূল (সাঃ) হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর ছেলে হযরত আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তোমার মায়ের ঘাতককে হত্যা
করেছেন।
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এর একমাত্র সন্তান হযরত আম্মার (রাঃ) এরতত্ত্বাবধানেই মদীনার কুবা শহরে ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ তৈরি হয়। আজ থেকে ১৪০০ বছরপূর্বে এই মহান মহিলা সাহাবী হযরত সুমাইয়া (রাঃ) ইসলামের সুমহান সৌন্দর্য্যে মুগ্ধহয়ে মুসলমান হয়ে যান।
ইসলামগ্রহন করার কারনে আবু জেহেল হযরত সুমাইয়া (রাঃ) এরপ্রতি কত অত্যাচার ইনা করেছিল কিন্তু হযরত সুমাইয়া (রাঃ) দ্বীন ইসলাম থেকে একচুলও সরে যাননি। রাসূল (সাঃ) যখন দ্বীন ইসলামপ্রচার করা শুরু করেন তখন মক্কারএকদম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকেরাই প্রথম দ্বীন ইসলামগ্রহন করেন। হযরত সুমাইয়া (রাঃ), হযরত বেলাল উনারা ছিলেন মক্কার সেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোক।
আজকে আমাদের মুসলিম ঘরের মেয়েদের আদর্শ হল হলিউঠের নায়িকা Angelina Jolie, KeiraNeightly, Megan fox,Penelope Cruz, Paris
Hilton.
এলিট পরিবারের কয়টা মুসলিম মেয়ে জানে যে ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ হলেন একজন মহিলা সাহাবী হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত
রাযিয়াল্লাহু আনহা? এই মহান মহিলা সাহাবী মক্কা বিজয়,সাহাবীদের ইরাক
ইরান মিশর তুরস্কসিরিয়া,মুসলমানদের গৌরব উমাইয়া,আব্বাসীয়, উসমানীয় খিলাফত কিছুইদেখে যেতে পারেননি।
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) যখন শহীদ হন তখন সারা পৃথিবীতে ১০০ জনেরওবেশী মুসলমান ছিল না। আমরা মুসলমানরা তখন এতই অসহায় ছিলাম যে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) কে লোহার বর্ম পরিয়ে মরুভুমির উত্তপ্ত বুকে শুয়াইয়ে রাখা হত কিন্তু সাহাবীরা কিছুই
করতে পারতেন না। কিন্তু মক্কার সেই রুঢ় পরিবেশেও হযরত সুমাইয়া
বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা দ্বীন ইসলাম থেকে একচুলও সরে দাঁড়াননি।
আর আজকে আমরা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও ইসলাম পালন করিনা, মুসলমান ঘরের কতছেলে আজকে নাস্তিক সংশয়বাদী হয়ে যাচ্ছে কিন্তুএই ছেলে গুলি যদি একটু কষ্টকরে হায়াতুস সাহাবা,আসহাবে রাসূলের জীবনকথা এই বই গুলি থেকে মহান সাহাবীদের জীবনী গুলি পড়তো তাহলে বুঝতো ইসলাম গ্রহন করার জন্য এইমক্কী জীবনে সাহাবীদের উপর মক্কার কাফেররা কত অত্যাচারইনা করেছে।
কিন্তু সাহাবীরা এক চুলও ইসলাম থেকে সরে
দাড়াননি।
Post a Comment